অনলাইন ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কেন করব5 (2)
ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কেন করব
ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কেন করব
ফ্রিল্যান্সিং যে নামটি শুনলেই আমাদের মনে আসে টাকা উপার্জনের কথা। যে কাউকে যদি বলেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেন সেই ভেবে বসে ফ্রিল্যান্সিং মানেই টাকা। আসলে বিষয়টা এতোটাও সত্য নয় আবার সম্পূর্ণ মিথ্যা কথাও নয়। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি পেশা বা কাজ যার দ্ধারা ঘরে বসেই নিজেকে দক্ষ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকের সাথে বা কোম্পানির সাথে অনলাইনে কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই ঘরে বসে আমেরিকা থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া বা যুক্তরাজ্য বা ইতালিসহ আরও বিভিন্ন উন্নত দেশে চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। যেই কাজটি করে থাকে তার দ্ধারা ভালো সংখ্যক একটি টাকা উপার্জন করে যায়। যেটি আমাদের দেশের টাকার প্রেক্ষাপট বা কাজের রেটের চেয়ে অনেক বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং কি? এই প্রশ্নটি অনেকেরই জানতে চায়। কিন্ত তারা জানতে পারেনা। অনেকেই বুঝতে পারেনা আসলে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা কি? ফ্রিল্যান্সিং মানেই অনেকের ভাবনা আবার রাত জাগা আবার অনেকের ভাবনা লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়ার কারখানা। আসলে ফ্রিল্যান্সিং দ্ধারা আসলেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কোন টাকা আয়ের কারখানা নয়। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্তপেশা যেই পেশার দ্ধারা ঘরে বসেই আয় করা যায় মাসে লাখ লাখ টাকাও বেশি। যার ফলে আপনি বুঝতেই পারচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি ঘরে বসে করা চাকরির মতোই বা কাজ।
যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে বাহিরে দেশের বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি বা বিজনেসের জন্য। যেই কাজ করে আপনি সহজেই লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন। সেই কর্পোরেট কোম্পানির থেকে আপনার সাথে কিছু নির্দিষ্ট মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে এবং তারা আপনাকে একটি কাজ দিয়ে দিবে তা আপনি যদি ঠিকভাবে করে দিতে পারেন তারই দ্ধারা একটি ভালো অংকের টাকা আপনি তাদের দ্ধারা পাবেন। যেই সংখ্যাটি কাজের উপর নির্ভর করে। যত ভালো কাজ করে দিবেন তোটা বেশি আপনাকে টাকা তারা দিবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং মানেই এমন টা নয় খালি টাকা আর টাকা। অনেকেই এখনও ভালোভাবে স্কিলডআপ হওয়ার পরেও মাসের পর মাস বসে আছে কিন্তু টাকা আয় করতে এখনও পারে নাই।
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল
ফ্রিল্যান্সিং কি হারাম এমন উত্তর হলো হ্যা । তবে আপনি যদি হালাল অনুযায়ী করেন । অনলাইনে দুই দিক আছে । তবে আপনি হালাল অনুযাযী করলে হবে ।
আরো জানুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন কি , গ্রাফিক্স ডিজাইন কি হারাম
ফ্রিল্যান্সিং কেন করা হয়?
ফ্রিল্যান্সিং কেন করা হয়, এই বিষয়টির কোন নির্দিষ্ট কোন উত্তর না থাকলেও বোঝাই যাচ্ছে সকলেরই ইচ্ছা ঘরে বসেই টাকা আয় করার। বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষই চায় যে সে ঘরে বসে টাকা আয় করবে। অনেকেরই ইচ্ছা ঘরে বসে কাজ করা। অনেকেই চায় না যে কোন বসের অধীনে কাজ করতে, তারা চায় নিজেই উদ্যোক্তা হতে। নিজেই একটি আইটি কোম্পানি খুলতে চায়। যেখানে তারা নিজেরাই বস হবে এবং তাদের অধীনে কিছু লোক কাজ করবে। ফ্রিল্যান্সিং করতে প্রথম দিকে মানুষের ইচ্ছে ছিল যে কিছু শিখে এই লাইনে আয় করা যায় কিনা তা জানার। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করত না যে ফ্রিল্যান্সিং দ্ধারা আয় করা যায়।
যখন করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরল তখন থেকেই মানুষ জানা শুরু করল যে ফ্রিল্যান্সিং করেই মানুষ বর্তমানে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। করোনাকালীন সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ ছিল ফ্রিল্যান্সিং করা। যারা করোনাকালে চাকরি হারিয়ে ছিল তাদের অনেকেই এই করোনাকালীন সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করে এবং ইতিমধ্যে মাসে ১০০০ ডলারেরও বেশি টাকা আয় করছে। তারই সাথে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনার কাজ কখনই কমতে থাকে না সবসময় ফ্রিল্যান্সিং করলে টাকার আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর ফ্রিল্যান্সিং টাকা আয়ের উৎস কোন নির্ধারিত নয়, আপনি যত ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন তোত বেশি ক্লাইন্ত পাবেন। আর যার যত বেশি ক্লাইন্ত তার আয়েও সেরকমই বেশি। ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্লাইন্ত আসে বাহিরের দেশ থেকেই। আর বর্তমান যুব সমাজে একটি কথা খুবী প্রচলিত যেই যে তারা চাকরি করতে চায় না তারা চাকরি দিতে চায়। ফ্রিল্যান্সিংও তেমনি একটি পেশা যেখানে চাকরি করতে হয়না উল্টা চাকরি দেওয়ার সুযোগও থেকে থাকে।
নতুন আবস্থায় কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করা যায়?
বর্তমান ২০২২ এই সময়ে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটু হলেও কষ্টের বা কঠিন হয়ে পরেছে। ফ্রিল্যান্সিং আগের দিকে খুব কমই ফ্রিল্যান্সিং ছিল যেই সংখ্যাটি বলাই যায় হাতেগোনা কিছু। কিন্তু এখন এই ২০২২ সালের দিকে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সংখ্যা প্রতিদনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা ৭ লাখেরও অধিক রয়েছে। যেই সংখ্যাটি প্রতিনিয়তা বেড়েই চলছে। তারই সাথে বলা যায় ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কঠিন কাজের সমস্যায় পড়ছে। কেননা আগে ফ্রিল্যান্সিং করত হাতেগোনা কিছু ব্যাক্তি কিন্তু এখনই এই সংখ্যাটি লাখের পর লাখ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং করার যাত্রাটা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। যার দ্ধারা অনেকেই বর্তমানে মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া আগের থেকে কঠিন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে স্কিলআপ হতে হবে। আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কাজে পুরোপুরি ভাবে নিজের স্কিল তৈরি করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করতে স্কিলের অভাব নেই, কিন্তু সেই স্কিল কাজে স্কিলআপ করা ব্যাক্তি বা ফ্রিল্যান্সার এরও অভাব নেই। ফ্রিল্যান্সিং করাটা যতটা সহজভাবা যায় বর্তমানে ততটা সহজ ফ্রিল্যান্সিং নয়। আপনাকে প্রথম ৬ মাস ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতে নিজের স্কিলের পিছনে সময় দিতে হবে। নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং এ শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আপনাকে আপনার সেই কাজটি ভালোভাবে শিখতে হবে যার দ্ধারা আপনি অংকের টাকা আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি মাসে ১০ লাখ টাকাও চাইলেই আয় করতে পারেন, কিন্তু তার জন্য আপনাকে ২ বছর ভালোভাবে শিখে কাজ করতে হবে। অনেক বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানিতে নিজের কাজকে তুলে ধরতে হবে।
আরো জনুন: ওয়েবসাইট কি ও কেন
ফ্রিল্যান্সিং সুবিধা কি?
অন্য সকল কাজের তুলনায় ফ্রিল্যান্সিং করতে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যে পেশা কাজ করতে পারবেন ঘরে বসেই। ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে সময় বেশি দিতে হলেও আপনার ইচ্ছা মতো কাজ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কোন সময় মাফিক কাজ করতে হয়না। ফ্রিল্যান্সিার হিসেবে আপনার যদি রাত ৩ টায় কাজ করতে হয় আপনি করতে পারবেন আবার আপনাকে ভোর ৫ টায়ও কাজ করতে ইচ্ছা করে তাও আপনি করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এ সব কিছুই আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এটিই সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি। ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে প্রতিনিয়ত অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে যেকোনো সময়ে আপনার কাছে কোন ক্লাইন্ত মেসেজ দিয়ে কাজ সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে।
জানুন: ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ থেকে শিক্ষা শুরু করব?
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাজ আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে অনতম কাজ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, অ্যাপ তৈরি, ক্যামেরা ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজ যা শিখে ঘরে বসেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে আয় কোন নির্দিষ্ট নেই। চাইলেই লাখ লাখ টাকা ফ্রিল্যান্সিং দ্ধারা আয় করা সম্ভব। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় স্কিলগুলো বাদেও আরও অনেক স্কিল রয়েছে যেখানে কাজ সংখ্যা ভালো হলেও খুব কম মানুষ সেই কাজটি করতে চায়। তার মধ্যে অনতম- বুক কভার ডিজাইন, লোগ ডিজাইন, বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং বা ইংলিশ কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও স্ক্রিপ্ট তৈরি করা, এনিমেশন ভিডিও তৈরিসহ আরও অনেক কাজ রয়েছে। তাই প্রথমদিকে নির্দিষ্ট একটি কাজ থেকে সব শুরু করা উচিত। শুরুতেই অনেক কাজ শিক্ষা উচিত না।
ফ্রিল্যান্সিং টাকা কিভাবে পাওয়া যায়?
ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জিত টাকা ঘরে বসেই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আশা সম্ভব। তারই সাথে আপনি বিদেশের যেকোনো দেশ থেকে পেওনিয়ার দ্ধারা আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এ নিয়ে আশা সম্ভব। আপনি চাইলেই মিনিটের মধ্যে বিকাশ বা রকেটের দ্ধারা আপনার উপার্জিত টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আস্তে পারবেন।
Pingback: সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর লেখার নিয়ম ২০২২ easy creative question solution
Zahidul Islam
August 8, 2022 at 1:27 pm
Nice
Pingback: অনলাইনে আয় করার জন্য প্রায়োজনীয় কোনও প্রশিক্ষণ আছে কি? | Amir info Bangla