অনলাইন ইনকাম
অনলাইন ক্লাস | অনলাইন ক্লাস কিভাবে করবো0 (0)
অনলাইন ক্লাস | অনলাইন ক্লাস কিভাবে করবো
অনলাইন ক্লাস | অনলাইন ক্লাস কিভাবে করবো
অনলাইন ক্লাস হচ্ছে এমন একটি ক্লাস বা পাঠদান করার মাধ্যম যেখানে ঘরে বসেই লেখা পড়া থেকে শুরু করে সব কিছু শিখে ফেলা যায়। বর্তমান সময়ে অনলাইন ক্লাসের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইন ক্লাসের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারন হচ্ছে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের ফলে সকলকেই ঘরে বসে সকলকে জীবনযাপন করতে হয়। এই সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহুদিন বন্ধ ছিল। এই অবস্থায় কোন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে পারছিলনা। সকলকে ঘরবন্দী জীবন পার করতে হচ্ছিল। ঘর বন্দী থাকায় সকলেরই পড়াশোনায় প্রচুর ব্যাঘাত ঘটছিল। সেই সময়ে আশীর্বাদ হয়ে আসে অনলাইন ক্লাস বা হোম ক্লাস। যেই ক্লাস বাসায় বসেই করা যায়। আপনাকে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে ঘরে বসেই করা যায় অনলাইন ক্লাস। সেসময় করোনা ভাইরাসের ফলে সকলেই অনলাইন ক্লাস করা শুরু করে। যার ফলে অনেকেরই পড়ালেখার ব্যাঘাত কমে যায়। যা যদি অনলাইন ক্লাস না হতো তাহলে অনেক বেশি হতো।
অনলাইন ক্লাস কি?
অনলাইন ক্লাস হচ্ছে এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা যা ঘরে বসেই লেখাপড়ার দ্ধারা করা সম্ভব হয়। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েই করোনাকালীন সময়ে অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখা করতে পেরেছে। উন্নত দেশগুলোতে আগেই অনলাইন ক্লাস শুরু করা হয়েছিল। এরই মধ্যে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশেও অনলাইন ক্লাস করোনা শুরু হওয়ার কিছু ২ মাসপর থেকেই অনেক শিক্ষকরা নেয়া শুরু করে। অনলাইন ক্লাস বলাই চলে করোনাকালে আশীর্বাদ সরূপ এসেছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন সময়ে ঘরে পড়ালেখা করে সময় পার করতে পেরেছে। নাহলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা থেকে মন উঠে যেত। তাও অনলাইন ক্লাসেও অনেক শিক্ষার্থীর পড়া লেখা থেকে মন উঠে গিয়েছিল। অনলাইন ক্লাস দ্ধারা তাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলে। অনলাইন ক্লাস করতে হলে অনেক জিনিসেরই প্রয়োজন যা অনেকের কাছহে না থাকায় তারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অনলাইন ক্লাস করতে কি কি প্রয়োজন?
অনলাইন ক্লাস করতে প্রথমেই আপনার একটি ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। যেই ডিভাইস দ্ধারা সহজেই অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়া যায়। অনলাইন ক্লাস করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে একটি স্মার্টফোন নিয়ে করতে হবে। স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ছাড়া অনলাইন ক্লাস করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তারই সাথে আপনার মোবাইলফোনে ইন্টারনেট কানেক্ট থাকতে হবে। যার ফলে আপনি সকল ক্লাস করা অ্যাপ চালাতে পারবে। ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া অনলাইন ক্লাস করা অসম্ভব বিষয়। অনলাইন ক্লাস করতে আপনাকে অবশ্যই ওয়াইফাই বা মোবাইল ডাটার ব্যবহার করতে হবে। কেননা যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে আপনি কোন কিছুই অনালিন ব্রাউজ করতে পারবেন না। আপনাকে অনালাইনে ব্রাউজ করতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
পরবর্তীতে অনলাইন ক্লাস করতে আপনার একটি হেডফোন থাকতে হবে। যার দ্ধারা আপনার অনলাইন ক্লাসের শিক্ষকের কথাগুলো আপনি ভালভাবে শুনতে পারেন। তারই সাথে আপনার হেডফোনে মাইক্রোফোন সংযোগও থাকতে হবে। যার দ্ধারা আপনার সমস্ত কথা আপনার শিক্ষক চাইলেই শুনতে পারে। তাই সকল ছাত্রদেরি একটি করে হেডফোন প্রয়োজন। যার থেকে তারা পুরো মনযোগের সাথে ক্লাস করতে পারবে। যার ফলে একজন শিক্ষার্থীর ক্লাসে ভালো মনযোগ দিতে পারবে।
তারই সাথে একজন শিক্ষার্থীর ক্লাস করতে একটি ওয়েবকেম বা ক্যামেরা থাকা জরুরি। সে যদি স্মার্টফোনে ক্লাস করে থাকে তাহলে তার মোবাইলে সাথেই একটি ক্যামেরা থাকে। সেই ক্যামেরা দ্ধারা আপনি চাইলেই নিমিষেই অনলাইন ক্লাসটি করতে পারবেন। আর যদি আপনি ডেক্সটপ ব্যবহার করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ওয়েবকেম বা ক্যামেরা অতিরিক্ত ভাবেই কিনে নিতে হবে। যার দ্ধারা আপনি আপনার অনলাইন ক্লাস ক্লাস করার সময় সাচ্ছন্দের সাথে মনযোগের সহিত ক্লাস করতে পারবেন।
অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব?
অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব যেমন রয়েছে তার খারাপ দিকও তেমনি রয়েছে। অনলাইন ক্লাসের দ্ধারা একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসেই ক্লাস করতে পারে। তার ফলে তার সময় ও পরিশ্রম খরচ কম হয়ে থাকে। কেননা অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা স্কুল ক্লাস করতে অনেক দুরে গিয়ে ক্লাস করতে হয়। তারফলে তাদের অনেক পরিশ্রম ও সময়ের ব্যায় হয়। কিন্তু তাও তারা একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের পড়তে যেতে পারে না সময়ের অভাবে। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী যদি অনলাইন ক্লাস করে ফলে শে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বসেই সে অনলাইন ক্লাসের দ্ধারা ক্লাস করতে পারে। যার ফলে তার অর্থেরও ব্যায় কম হয়। তারই সাথে বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির ফলে ঘরে বসেই দেশ বিদেশের পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে।
অনলাইন ক্লাসের অসুবিধাঃ
অনলাইন ক্লাসের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে। যে অসুবিধাগুলো আছে তার মধ্যে অনেকগুলোই অনেক সময় অভিভাবকের গাফিলতির ফলেও হয়ে থাকে, অভিভাবকে রা তাদের সন্তানদের অনলাইন ক্লাসের সময় মনযোগি হতে বলে না। তাদের উপর ক্লাস করার সময় বিশেষ দৃষ্টি দেয় না। তারাও বাচ্চাদের বোঝায় অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজন নেই। তার ফলে তাদের সন্তানেরও অনলাইন ক্লাস থেকে মনযোগ হারিয়ে ফেলে। তারাও চায় না অনলাইন ক্লাস করতে। অনলাইন ক্লাসের সময় যখন পরীক্ষা নেয়া হয় তখন অনেকেই চোরামি করার জন্য চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু প্রপার নিয়মে সিস্টেম করলে এই দুই নাম্বারিও রুখে দেয়া যায়।
তারই সাথে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে থাকে অনলাইন ক্লাসের ফলে তাদের সন্তানেরা স্ক্রিন টাইম বেশি দিয়ে থাকে, যার ফলে অনেকেরই চশমার প্রয়োজন পরে। যার ফলে অনলাইন ক্লাসকে চোখের সমস্যার কারণ মনে করে। কিন্তু যদি তার সন্তান প্রতিদিন ২/৩ ঘণ্টা সাধারণ ভাবেই স্ক্রিনটাইম দিয়ে থাকে তাহলে তার সন্তানের দ্ধারা অনলাইন ক্লাসের সময়ে ১/২ ঘণ্টা দেয়া কোন বড় সমস্যার কারণ নয় বলাই চলে। তারা যদি তাদের সন্তানকে ভালো করে শাসন করতে পারে তারই সাথে নিজের মতো করে চলা থেকে বিরত রাখতে পারে তারই ফলে তার সন্তান ক্লাসের সময়ই মোবাইল ব্যবহার করবে।
অনলাইন ক্লাস কিভাবে করতে হয়ঃ
অনলাইন ক্লাস করার জন্য অনেকগুলোই প্রয়োজনীয়ও সফটওয়ারের প্রয়োজন পরে থাকে। সেই সফটওয়ারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গিয়ে গুগুল মিট এবং জুম। যা বর্তমানে বৃহৎ হারে ব্যবহারকৃত সফটওয়ারগুলোর একটি। এই সফটওয়ার দ্ধারা ঘরে বসেই বিভিন্ন মিটিং করা সম্ভব। কেননা এই সফটওয়ারগুলো প্রথমদিকে এই বিষয়টিকে টার্গেট করেই তৈরি করা হয়েছিল। অনেকেই জানেনা এই সফটওয়ারগুলো চাইলেই বিনামূলে ব্যবহার করা সম্ভব। তাদের পেইড ভার্সন রয়েছে। সেগুলোতে ফিচার অন্যদের থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে।
জুম এই সফটওয়ারটি একত্রে প্রায় একশত ব্যাক্তিকে একটি মিটিংএ রাখার অনুমতি দিয়ে থাকে। তারই সাথে একটি মিটিংকে বিনামূলে ৪০ মিনিটের মতো সুযোগ দিয়ে থাকে মিটিং করার। কিন্তু তাদের পেইড ভার্সনটিতে ১০০ এর অধিক ব্যাক্তি নিয়ে তারা মিটিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে। তারই সাথে মিটিং এর সময়সীমা ১০ ঘণ্টার বেশি হয়ে থাকে। তাদের একাধিক প্যাক থাকায় তারা কয়েক দিনও মিটিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলেই জুম দ্ধারা ঘরে বসেই ৩০০/৫০০ লোকের সাথে মিটিং করে ফেলতে পারবেন সামান্য খরচে। যা সামনা সামনি করলে খরচ পড়ত অনেক।
আরেকটি সফটওয়ার আছে গুগুল মিট। যা প্রায় জুমেরই মতো। কিন্তু গুগুল মিটে কিছু দিক দিয়ে সুবিধা অন্যদের থেকে বেশি। যা হলো গুগুল মিটে ১ ঘণ্টারও বেশি মিটিং করা যায় বিনামূলে। যার ফলে অনেকেই গুগুল মিট ব্যবহার করে থাকে। গুগুল মিটেও ১০০ এর মতো ব্যাক্তি ক্লাসে যুক্ত করা সম্ভব হয়। দুই সফটওয়ারের কাজ প্রায় সেইম।